হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, গুজরাট রাজ্যের মরবি শহরে সেতু ভেঙে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানির হৃদয়বিদারক সংবাদের মাধ্যমে হিন্দু মুসলিম ভ্রাতৃত্বের এক অনন্য নজির সামনে এসেছে। যেখানে দুইজন মুসলমান অনেক ভুক্তভোগীর জীবন বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
আপনাকে বলি দুই ফেরেশতা! হ্যাঁ, তৌফিক ভাই এবং হোসেন পাঠান ফেরেশতা যারা মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন।
তৌফিক ভাই ৩৫ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।সাঁতারু হোসেন পাঠান ৫০ জনকে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচান।
আজ যেখানে ঘৃণা প্রবল, সেখানে কিছু মৌলবাদী উপাদান আমাদের ভাঙার চেষ্টা করছে। এই উত্তাল পরিবেশে আমরা মানবতার সবচেয়ে বড় উদাহরণ দেখতে পাই। এটাই ভারতের সৌন্দর্য। আর এটাই আমাদের গঙ্গা ও জমুনা সভ্যতার মহান ঐতিহ্য, যা সংখ্যাগরিষ্ঠরা বজায় রেখে চলেছে।
এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসিত হচ্ছেন এই দুই সাহসী যুবক। বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তি তাদের প্রশংসা করেছে।সাংবাদিক ওয়াসিম আকরাম উপরের দুই সাহসী মুসলমানকে নিয়ে টুইট করেছেন।
তিনি আরও লিখেছেন যে গুজরাটি ভাষার সংবাদপত্রে উভয় নায়কেরই আলোচনা হচ্ছে। এছাড়াও এই খবরটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে এবং অন্যান্য লোকেরাও এটি বিভিন্নভাবে শেয়ার করছে। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান টুইটারের প্রশংসা করতে শুরু করেছে।
উদাহরণস্বরূপ জাফর সাইফি লিখেছেন যে তৌফিক, রাজু এবং হোসেন পাঠান প্রায় ২০০ জনের জীবন বাঁচিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ক্যাবিল ব্রিজ ভেঙ্গে ১৪৫ জনেরও বেশি মানুষ মারা যান। আর আশ্চর্যের বিষয়, মাত্র চার দিন আগে সেতুটি মেরামত করা হয়েছিল।
ব্রিজ পরিবহন সার্টিফিকেট ইস্যু করেনি ব্যবস্থাপনা।তবে সেতুটি খুলে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু, সেতুতে ভ্রমণের জন্য পর্যটকদের কাছে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে এবং নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি টিকিট দেওয়া হচ্ছিল।